ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ

যারা ফেল করেছে তাদের উৎসাহ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
  • ২৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা ফেল করেছে তাদেরকে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ দিতে হবে। তাদের পড়ালেখার প্রতি আরও মনোনিবেশ করতে হবে, তাদের আরও ভালো করতে হবে।’

রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম। নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। আজকে আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তবে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ কম। কিন্তু এ শিক্ষার প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে কম্পিউটার স্বপ্নের মতো ছিল। অনেকে চিনতোই না। আমরাই প্রথম কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়েছিলাম। এছাড়া বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের জন্য ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম। আমাদের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, আমি প্রথম করেছি। দেশে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমি আরও চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলামা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ছেলেমেয়েদের কাছে চাই- তারা পড়াশুনা করুক। তাদের শিক্ষার জন্য আমি বৃত্তি দিচ্ছি। ট্রাস্ট ফান্ড করেছি যাতে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারে। আমরা কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ সবাই একই ধারার শিক্ষা নেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন পরীক্ষার রেজাল্ট হলে পত্রপত্রিকা নানা কথা লেখে। তারা ভুলে যান আমরা ক্ষমতায় আসার আগে কতজন পাস করতো, আর এখন কতজন পাস করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বহুমুখী শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। কারিগারি শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে টেক্সটাইল ও ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি ৫ হাজার ২৭৫টি। এছাড়া লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রামের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০টি ভাষার অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি, যাতে বিভিন্ন ভাষা শিখে তারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই প্রথম ৬০ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগে পরীক্ষার সময় ও ফল প্রকাশের সময়ের কোনও ঠিক ছিল না। আমরা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এনেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভর্তির ফরম সংগ্রহ, চাকরির জন্য তথ্য বাতায়ন করে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। ফলে ছোটছুটি করে সময় নষ্টের প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কত শতাংশ পাস বা ফেল করলো তা বিবেচ্য বিষয় না। শিক্ষার্থীদের আরও পড়তে হবে, পড়াশুনার প্রতি মন দিতে হবে। প্রতিদিন পড়ার জন্য কোন সময় ভালো সেটা বেছে নিতে হবে। অভিভাবকদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের ছেলেমেয়েদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে, যেকোনও কথা যেন বলতে পারে তেমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে জঙ্গি পথে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা কোথায় যায়, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাহলে তারা জঙ্গি পথে যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ দেশের দায়িত্ব এ ছেলেমেয়েদের নিতে হবে। ভালো বিজ্ঞানী, শিক্ষক হতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখনকার ছেলেমেয়েদের নেতৃত্ব দিতে হবে। অনেক রক্ত দিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছি। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদামপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। প্রতিটি মানুষ যে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। স্বাধীনতার পর সামরিক শাসকরা দেশকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। কয়েক বছর রিফুজি হিসেবে বিদেশে বাস করেছি। তখন বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় সঠিক মূল্যায়ন হওয়ায় এ বছর পাসের হার কম। সৃজনশীল উত্তরপত্র অতিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে সরকার।

উল্লেখ্য, সারাদেশের পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন, পাস করেছে ৮ লাখ এক হাজার ৭১১ জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ

যারা ফেল করেছে তাদের উৎসাহ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:১৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা ফেল করেছে তাদেরকে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ দিতে হবে। তাদের পড়ালেখার প্রতি আরও মনোনিবেশ করতে হবে, তাদের আরও ভালো করতে হবে।’

রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম। নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। আজকে আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তবে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ কম। কিন্তু এ শিক্ষার প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে কম্পিউটার স্বপ্নের মতো ছিল। অনেকে চিনতোই না। আমরাই প্রথম কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়েছিলাম। এছাড়া বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের জন্য ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম। আমাদের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, আমি প্রথম করেছি। দেশে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমি আরও চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলামা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ছেলেমেয়েদের কাছে চাই- তারা পড়াশুনা করুক। তাদের শিক্ষার জন্য আমি বৃত্তি দিচ্ছি। ট্রাস্ট ফান্ড করেছি যাতে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারে। আমরা কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ সবাই একই ধারার শিক্ষা নেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন পরীক্ষার রেজাল্ট হলে পত্রপত্রিকা নানা কথা লেখে। তারা ভুলে যান আমরা ক্ষমতায় আসার আগে কতজন পাস করতো, আর এখন কতজন পাস করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বহুমুখী শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। কারিগারি শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে টেক্সটাইল ও ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি ৫ হাজার ২৭৫টি। এছাড়া লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রামের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০টি ভাষার অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি, যাতে বিভিন্ন ভাষা শিখে তারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই প্রথম ৬০ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগে পরীক্ষার সময় ও ফল প্রকাশের সময়ের কোনও ঠিক ছিল না। আমরা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এনেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভর্তির ফরম সংগ্রহ, চাকরির জন্য তথ্য বাতায়ন করে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। ফলে ছোটছুটি করে সময় নষ্টের প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কত শতাংশ পাস বা ফেল করলো তা বিবেচ্য বিষয় না। শিক্ষার্থীদের আরও পড়তে হবে, পড়াশুনার প্রতি মন দিতে হবে। প্রতিদিন পড়ার জন্য কোন সময় ভালো সেটা বেছে নিতে হবে। অভিভাবকদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের ছেলেমেয়েদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে, যেকোনও কথা যেন বলতে পারে তেমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে জঙ্গি পথে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা কোথায় যায়, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাহলে তারা জঙ্গি পথে যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ দেশের দায়িত্ব এ ছেলেমেয়েদের নিতে হবে। ভালো বিজ্ঞানী, শিক্ষক হতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখনকার ছেলেমেয়েদের নেতৃত্ব দিতে হবে। অনেক রক্ত দিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছি। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদামপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। প্রতিটি মানুষ যে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। স্বাধীনতার পর সামরিক শাসকরা দেশকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। কয়েক বছর রিফুজি হিসেবে বিদেশে বাস করেছি। তখন বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় সঠিক মূল্যায়ন হওয়ায় এ বছর পাসের হার কম। সৃজনশীল উত্তরপত্র অতিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে সরকার।

উল্লেখ্য, সারাদেশের পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন, পাস করেছে ৮ লাখ এক হাজার ৭১১ জন।